1
বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারে সর্বশেষ তথ্য বলছে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৪০ লাখ ১৪ হাজার ৪০১ জনের শরীরে। এছাড়া আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩৮ জন। বর্তমানে ভাইরাসটির উপস্থিতি রয়েছে ২৩ লাখ ৫১ হাজার ৪৮০ জনের শরীরে। এদের মধ্যে ২৩ লাখ ৫০ হাজার ৯৭২ জনের সংক্রমণ মৃদু এবং ৪৮ হাজার ৬৯৯ জনের অবস্থা গুরুতর।
তবে এর মধ্যে আশার খবরও আছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৯১ জন। আক্রান্ত বেশি হওয়ায় সবচেয়ে বেশি সুস্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে; ২ লাখ ২০ হাজার। এরপর জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৭০ হাজারের মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার সুস্থ। স্পেনে এই সংখ্যাটা ১ লাখ ৬৮ হাজার।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে ২৮ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সবচেয়ে বাজে অবস্থা দেশটির জনবহুল নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৭৮ হাজার ৬১৬ জন মারা গেছেন; যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যাও বিশ্বে সর্বোচ্চ ১৩ লাখ ২২ হাজার ১৬৩ জন। শুধু নিউইয়র্কে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪০ হাজারের বেশি। নিউইয়র্কে যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের অন্য কোনো দেশে তত আক্রান্ত নেই। সেখানে মারা গেছে ২৬ হাজার ৫৮১ জন।
মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩১ হাজার ৩১৬ জন। আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ৬২৯ জন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইতালিতেও মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ২০১ জন। আর মোট আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ১৮৫ জন।
ইউরোপেরই অন্য দেশগুলোর মধ্যে স্পেনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্পেনে মৃতের সংখ্যা যুক্তরাজ্য ও ইতালির চেয়ে কম হলেও আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৮৫৭ জন। অন্যদিকে ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা স্পেনের কাছাকাছি। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ২৩৩ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ২০২ জন। আক্রান্তের দিক দিয়ে রাশিয়ার অবস্থান পঞ্চম। সেখানে শনাক্ত ১ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি রোগীর ১ হাজার ৭২৩ জন মারা গেছে। এছাড়া জার্মানিতে মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৫০০।
আক্রান্তের দিকে এরপরই রয়েছে ব্রাজিল ও তুরস্ক। ব্রাজিলে আক্রান্ত ১ লাখ ৪১ হাজারের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার ও তুরস্কে আক্রান্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫০ এর মধ্যে ৩ হাজার ৭০০ জন মারা গেছেন। ইরানের শনাক্ত রোগীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। দেশটিতে সরকারিভাবে ৬ হাজার ৫৪১ মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে।
উহানে প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও আক্রান্তের দিক দিয়ে চীনের অবস্থান এখন ১১। দেশটিতে শনাক্ত ৮৪ হাজার রোগীর ৪ হাজার ৬৩৭ জন মারা গেছেন এবং সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৭৮ হাজার। এরপর কানাডায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ হাজারের বেশি। মারা গেছে সাড়ে ৪ হাজার। পেরুতে আক্রান্ত ৫৮ হাজারে মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬২৭ জনের।
প্রতিবেশী ভারতের করোনার সংক্রমণ গত কয়েক দিনে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। দেশটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৬০ হাজার। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ২ হাজার মানুষ মারা গেছে। এদিকে পাকিস্তানে আক্রান্ত ২৬ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬০০ জনের। গত শুক্রবার ১ হাজার ৭০০ এর বেশি আক্রান্ত। ইউরোপের আরেক দেশ বেলজিয়ামে আক্রান্ত ৫২ হাজার কোভিড-১৯ রোগীর ৮ হাজার ৫২১ জন মারা গেছে। এ
ছাড়া নেদারল্যান্ডসে যে ৪২ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ৫ হাজার ৪০০ জন আর নেই। এদিকে সৌদি আরবে আক্রান্ত ৩৫ হাজারের ২২৯ জন ইতোমধ্যে মারা গেছে। মেক্সিকোতে মারা গেছে প্রায় ৩ হাজার।এছাড়া মৃত্যুর তালিকায় ওপরে থাকা দেশগুলো যথাক্রমে সুইডেন ৩ হাজার ১৭৫, আয়ারল্যান্ড ১ হাজার ২৯, সুইজারল্যান্ড ১ হাজার ৮১০, ইকুয়েডর ১ হাজার ৬৫৪, ইন্দোনেশিয়া ৯৪৩।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়া করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৮৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।