5
কিছুদিন বন্ধ থাকার পরে আবারো আতঙ্কের জনপথে রুপ নিচ্ছে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে আতিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নটির মুন্সী কান্দি গ্রামে চলে মুহুমহু ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি।
এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে পুরো ইউনিয়ন জুরে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলো পৌছে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
শুক্রবার ককটেল ও গুলির ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ইউনিয়নের মু্ন্সীকান্দী, বেহেরকান্দী, নোয়াদ্দা ও লক্ষীদেবীসহ আশপাশ এলাকায় চলে পুলিশের বিশেষ অভিযান।
যার নেতৃত্ব দেন অতিরিক্তত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খন্দকার আশফাকুজ্জামান। এছাড়াও অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনিচুর রহমান,ওসি অপারেশন শেখ আবু হানিফ,এস আই ইব্রাহীমসহ অর্ধশাতাধিক পুলিশ সদস্য। স্থানীয়রা জানান,আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্রকরে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি নেতা উজির আলির লোকজন আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য স্বপন দেওয়ানের লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
হামলার শিকার স্বপন দেওয়ান বলেন,বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে উজির আলীর লোকজন আমার গ্রামের উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে কেন আর কি কারনে তারা এমন কাজ করলো তা এখনো যানতে পারছিনা।
এব্যাপারে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা উজির আলীকে একাধিক বার মুঠফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ
ব্যাপারে ইউনিয়টির চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা বলেন,আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য স্বপন দেওয়ানকে মেরে ফেলার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। তাই রাতে হঠাৎ করে এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে আইগত সহায়তা চান তিনি।
ইউনিয়নটির সাবেক চেয়ারম্যান রিপান পাটোয়ারি বলেন,শান্তসৃষ্ঠ মোল্লাকান্দি ইউনিয়নকে যে অশান্তিতে পরিনিত করতে চাইবে তার বিরুদ্ধে সর্বচ্চো ব্যবস্থা নিতে হবে। সে কোন দলের কি তার পরিচয় তা দেখার কোন সুযোগ নেই।
আমরা চরাঞ্চলের মানুষ শান্তি চাই।
এব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনিচুর রহমান বলেন,বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলের পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।
পরে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খন্দকার আশফাকুজ্জামানের নেতৃত্বে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চলে বিশেষ অভিযান। এসব ঘটনার সাথে যেই জড়িত থাকবে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলেও হুশিয়ারী দিয়ে তিনি আরো বলেন সন্ত্রাসের জনপদ মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে অভিযান অব্যাহত থাকবে।