5
মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলা থেকে নাহিদা (১৯) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নাহিদার পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। এ ঘটনায় স্বামী ও দেবড়কে আটক করেছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, কেরানীগঞ্জ জেলার আব্দুল্লাপুর এলাকার ফারুক হোসেনের মেয়ে নাহিদা। দেড় বছর আগে টাংগিবাড়ী উপজেলার মো. বাবুলের ছেলে রাসেলের সাথে বিয়ে হয়। তাদের পরিবারের ছয় মাসের ছলে আছে।
মেয়ের মা নারগিস বেগম অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে নানা কারণের রেশ ধরে অত্যাচার করে আসছিল নাহিদার স্বামী ও দেবড়। আত্নহত্যা করার মতো কোন পরিস্থিতি ছিল না। অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
টংগিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, গভীর রাতে কোন এক সময় শ্বশুর বাড়ি থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় নাহিদাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি আরো জানিয়েছেন, নাহিদার বাবা ফারুক বাদি হয়ে টঙ্গীবাড়ি থানায় মামলা করেন।
প্র্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গলায় ফাস দিয়ে মারা গেছে এবং শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। নাহিদার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করছে শারীরিক অত্যাচার করে তাকে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় স্বামী রাসেল (২৪) ও দেবড় রাজুকে(২০) আটক করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে নাহিদার পরিবার অভিযোগ করে বলেন, ময়না তদন্ত জন্যে লাশ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে দীর্ঘ সময় পরে জানায় সাড়ে তিনটায় ময়না তদন্ত করা হবে ডাক্তার মিটিংয়ে আছে। অনেক সময় অপেক্ষা করার পরে বলে ৬হাজার টাকা দিতে হবে পরে তারা ৪হাজার দিতে রাজি হয়। দুখ প্রকাশ নিহতের মা বলেন, ২হাজার টাকা কম দিয়েছি বলে মেয়ে পা ধরে টেনে বের করে দিয়েছে।