5
মঙ্গলবার (২৬ মে) দিবাগত রাত এবং বুধবার (২৭ মে) ভোরে তীব্র গতিতে ঝড় আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাব কাটতে না কাটতে আবারও সারা দেশেরমত তীব্র ঝড়ে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের বেশকয়েকটি ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েগেছে। এর মধ্যে ঝড়ে বালিগাঁও ইউনিয়নের দেওবাড়ি মহল্লার জাহাঙ্গীর বাছারের বাড়িতে কয়েকটি ঘরের উপরে গাছ পরে ঘর ভেঙ্গে গেছে। আনুমানিক ৫/৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানাযায়। ঘর দুটির মধ্যে কোনো লোকজন না থাকায় প্রাণনাসের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, জাহাঙ্গীর বাছারের ফুপাত ভাই আলামিন বাছারের দুটি ঘরের উপর গাছ পরে ঘরগুলো লন্ডভন্ড হয়ে আছে। মোটামোটা সৃষ্টি গাছগুলো ঘরের উপর পরে ঘরগুলো ভেঙ্গে গেছে। ঘরের মধ্যে আসবাপত্র সব ভেঙ্গেচুরমার হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঘরমালিক আলামিন বাছার বলেন, কিছুদিন আগেই পুরাতন ঘরগুলোকে মেরামত করেছি। দুটি ঘর মেররামত করতে ২ লাখ টাকা খরচ করেছি। কিন্তু এই কালবৈশাখী ঝড় আমার সব তছনছ করে দিলো। ভাগ্যক্রমে আমরা ঘরদুটিতে আমরা ছিলামনা, ব্যপক ঝড়ো হাওয়া বইছে দেখেই আমরা সবাই আমার বিল্ডিংয়ে আশ্রয় নেই।
জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে ঘরগুলো তছনছ হওয়ার দৃশ্য দেখে হতভঙ্গ হয়ে পরি আমিও আমার পরিবার। বড় বড় গাছগুলো আমার ঘরের উপর পরেছে সেই দৃশ্য দেখেছি, এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না কি করে এগুলো হলো। করোনার এই প্রকোপে এক্ষতি কি করে কাটিয়ে উঠবো বুঝতে পারছি না।
এবিষয়ে প্রতক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর বাছার বলেন, আমি আমার ঘরের দরজা থেকে দাড়িয়ে ঝড়ের তান্ডব দেখছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে আমি আকস্মিত হই। তাকিয়ে দেখি আলামিনদের ঘরের উপর গাছ পরে ঘরগুলো তছনছ হয়েগেল। আমার মুখদিয়ে তখন কোনো কথাই আসছিলনা আমি পুরোই স্তব্ধ হয়েগেছি।