5
মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরের পঞ্চসার ইউনিয়নের দুর্গাবাড়ি এলাকার প্লাস্টিক কারখানাগুলোতে চলছে শিশুশ্রম। কারখানাতে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজে স্বল্প বেতনের পারিশ্রমিকে শ্রমিকদের সম্পৃক্ত করে একদিকে যেমন মজুরি বৈষম্যের সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে শ্রম আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালাচ্ছেন প্লাস্টিক কারখানা।
মজার ব্যাপার হলো, প্লাস্টিক কারখানার নেই লাইসেন্সের মেয়াদ, দেওয়া নাই সরকারি ভ্যাট ও পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র, কারখানার মালিরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে প্লাস্টিক কারখানা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শিশুশ্রমবন্ধে সরকারের তরফ থেকে নানা আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হলেও পঞ্চসারের দুর্গাবারি , ইফাদ ফাইবার ইন্ডস্টিজ , বিসমিল্লাহ ভাই প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রিজ ছাড়াও ,বেঙের ছাতার মত গরে উঠেছে ছোট বড় অনেক প্লাস্টিক কারখানায় প্রশাসনিক তৎপরতার কোনও প্রতিফলন ঘটেনি।
দুর্গাবাড়ি এলাকর নাম ঠিকানা বিহীন প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করে , ৩ জন শিশু আকশ ( ১১) , ওসমান গনি (১০) ও পাপ্পু ( ১০) সকলেই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অধ্যয়নরত অবস্থায় কাজে ঢুকেছে । তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় পারিবারিক অসচ্ছলতার জন্য বাধ্য হয়ে তাদের কাজে ঢুকতে হয়েছে ।
মহাজনদের অর্থের লোভে পড়ে অভিবাবকরাও শিশুদের কাজে পাঠাচ্ছেন। হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের বিনিময়ে সামান্য মজুরি পাচ্ছে এই শিশুরা। একদিকে অক্লান্ত পরিশ্রম, অন্যদিকে সামান্য ভুলের কারণে তাদের নির্মম-নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ কাজে প্রত্যেককে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এই টাকার অর্ধেক অগ্রিম তাদের অভিবাবকের হাতে দিয়ে তাদের আনা হয়েছে।
ইফাদ ফাইবার ইন্ডস্টিজ কারখানার মালিক রুবেল মাদবর দৈনিক মুন্সীগঞ্জের খবরকে বলেন , আমাদের পরিবেশ ছার পত্র ও ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ছিলাম দেড় বছরে আগে, তবে পুণঃনিবন্ধ করা হয়নি , আমার কারখানায় কোন শিশু নাই , সবাই বড় । আমি খুব তারারি রিনিউ করবো ।
শুধু ইফাদ ফাইবার ই নয় আশা পাশের কোন করখানায় নেই লাইসেন্স স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে শিশু শ্রম ।
কারখানার নামই নাই কাজে ব্যস্ত শিশুরা ,ওসমান শামিম , আকাশা পাপ্পু জানায় মালিক ঢাকায় আছে আসেনা তবে টাকা ঠিক মত দেয়, অভাবের দয়ে কাজ করতে এসেছি । তাদের থেকে নাম্বার সংগ্রহ করে ফোন দিয়ে জানা যায় তার নাম মোঃ মহিউদ্দিন ।
মহিউদ্দিন বলেন , আমার দোকানে কারেন্ট জালের ম্যাশিন বানাই । কারখানা আছে নাম দেয়া হয় নাই ,কাজ পত্র কিছুই নাই ,তবে আমার কারখানায় যারা কাজ করের তাদের সবাইকে অভিবাবকের সাথে কথা বলে বেতন দেই , গরিব মানুষ যাওয়ার জায়গা নাই কামকরতে আসছে কাম দিছি ।