8
পিপিই-র পুরো মানে হলো পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম।
একদিকে চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন যে তারা যথেষ্ঠ পরিমানে পিপিই পাচ্ছেন না, অন্যদিকে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাংকে কর্মরত ব্যক্তি থেকে শুরু করে সরকারি দপ্তরের কর্মীদেরকেও পিপিই পরতে দেখা গেছে।
আর এ নিয়ে বেশ সমালোচনাও হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বলেছেন, যাদেরকে পিপিই পরতে দেখা যাবে, তাদেরকে চিকিৎসার কাজে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
অর্থাৎ পিপিই মূলত ব্যবহার করেন ওইসব রোগের চিকিৎসার সঙ্গে জড়িতরা, যেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিপিই হিসেবে যা ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো ভাইরাস, বিশেষ করে অত্যন্ত ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস কতটা ঠেকাতে সক্ষম তা নিয়ে প্রশ্নও তোলা হচ্ছে।
কেন পিপিই?
কোনো ব্যক্তি যদি এমন কোনো জায়গায় কাজ করেন যেখানে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাহলে তার জন্য পিপিই আবশ্যক।
পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট অনেক ধরণের হতে পারে – তবে এটা নির্ভর করে কী ধরণের কাজে তা ব্যবহার করা হচ্ছে, তার ওপর।
ছোঁয়াচে রোগের চিকিৎসা করেন এমন চিকিৎসকদের জন্য পিপিই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর একটা বড় কারণ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে যে প্রতি ১০ জন রোগীর মধ্যে একজন রোগী চিকিৎসকদের মাধ্যমেই সংক্রমিত হন।
অন্যদিকে, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরাও রোগীদের মাধ্যমে আক্রান্ত হতে পারেন। ইতালিতে দেখা গেছে যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের অনেকেই স্বাস্থ্য কর্মী, যারা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে নিজেরাই আক্রান্ত হয়েছেন।