1
মুন্সীগঞ্জ জেলায় ছয় উপজেলায় অনেকেই মানছে না লকডাউন। আর এই কারণে করোনার ভয়াহব ঝুঁকিতে রয়েছে জেলাবাসী। লার বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা ও গ্রামে চোখে পরার মতো মানুষের আনাগোনা বেড়েই চলছে আর এতে করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
জেলায় ৬ উপজেলা থেকে করোনা ভাইরাস সন্দেহে ২১৭ জনের নমুর পরিক্ষা করলে এই পর্যন্ত ৩৭জন করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। ক্রমেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে জেলাবাসী।
লকডাউনের কারণে শহরের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ থাকলেও বাজার ও দোকান নির্ধারিত সময়ে খোলার নির্দেশনা থাকলেও সুযোগ পেলেই অনেক পাড়া মহল্লায় দোকান খোলা রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে শহরের বড় বাজারগুলোতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব।
শহর ও গ্রামের প্রধান প্রধান সড়কে অবাধে ছোট ছোট যানবাহন চলতে দেখা যাচ্ছে। অনেক স্থানে মানুষের জটলা দেখা যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথেই জমজমাট হয়ে উঠে শহর। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এখনও অনেক মানুষ অবাধে রাস্তায় বিচরণ করছে। প্রশাসনের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রয়োজন থাকুক বা না থাকুন, মানুষ ঘর থেকে বেড় হচ্ছে রাস্তায়। চলছে রিকশা, অটো, সিএনজি, এদেরকে আটকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মোবাইল কোর্টে জরিমানা, পুলিশের জনসচেতনতায় মাইকিং কিংবা সেনাবাহিনীর টহল উপস্থিতিও দমাতে পারছে না তাদের।
দলবেঁধে মানুষ বাজার- কেনাকাটা করছে। রাস্তায় অপ্রয়োজনে এখন অনেকে চলাফেরা করছেই। বেলা ২টার পর দোকান-পাট বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও অনেক স্থানে নির্ধারিত সময়ে বন্ধ রাখছে না কিছুকিছু দোকানপাট। অনেক পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় চলে জম্পেস আড্ডা। অনেক পাড়া, মহল্লায় এলাকাবাসীর নিজ উদ্যেগে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাসের ব্যারিকেড দিয়ে পিছনে আড্ডা দিচ্ছে। প্রশাসনের গাড়ি চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। পাড়া মহল্লায় কোথাও আগুল লাগলে এম্বুলেন্স ঢুকতে কঠিন বাঁধার সম্মুখীন হবে। এছাড়াও রাস্তায় এসব ব্যারিকেড দেওয়ায় রাতের বেলা বিভিন্ন এলাকায় বাড়ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সহ নানান ধরনের অপকর্ম। এখনও যদি জেলার সাধারণ মানুষ সতেচন না হয়, আর প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোন অবস্থানে না যায় তাহলে জেলায় করোনায় ভয়াবহ রুপ ধারণ করতে পারে বলে জানান অনেক সতেচন মহল।
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জান তাকুকদান বলেন, করোনা বিস্তার রোধে আমরা জেলাকে লক ডাউন ঘোষণা করেছি। রাস্তায় প্রতিটা মোড়ে মোড়ে ও সড়ক-মহসড়কের প্রতিটি পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারীতে রেখেছি। সড়ক ও নৌপথ দিয়ে অন্য জেলা থেকে যাতে কেউ মুন্সীগঞ্জে প্রবেশ না করতে পারে এবং জেলা থেকে বের না হতে পারে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে রেখেছি।