5
মুন্সীগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রাহিমাকে ব্যাপক মারধর করেছে স্বামী জুয়েল ও শাশুরি দেবরা । এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে মার খেলে অন্তঃসত্ত্বা রহিমার,মা,বাবা,ভাই,ভাবিসহ আরো অনেক। বুধবার (২৯ এপ্রিল) ও বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুই দফা হামলা ও মারধরের ঘটায় জুয়েল ও তার পরিবারে লোকজন। সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বাংলাবাজার ইউনিয়নের বানিয়াল মহেশপুর পশ্চিম কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,মহেশপুর পশ্চিম কান্দি গ্রামের নবু বকাউলের মেয়ে রাহিমা বেগম(১৮) একই গ্রামের ছলেমান মিঝির ছেলে জুয়েল মিঝির সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তখন ছেলেপক্ষ মেয়ে পক্ষের কাছে এক লক্ষ টাকা ও এক ভড়ীস্বর্ণ যৌতুক দাবী করেন,দাবীকৃত এক লক্ষ টাকার মধ্যে বিয়ের আগে ৮০ হাজার টাকা পরিশোদ করা হলেও তাদের দাবীকৃত বাকী ২০ হাজার টাকা ও একভড়ী স্বর্ণ পরিশোদ করতে না পারায় স্বামী জুয়েল ও তার পরিবারে লোকজন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রাহিমা বেগমকে কয়েক দফা ব্যাপক মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।
পরে রাহিমার পরিবারে লোকজন বিষয়টি যানতে গেলে রাহিমার মা ফাতেমা বেগম (৬০),বাবা নবু বকাউল (৬৫),বড়ভাই আল-আমিন (২২),ভাবি ছমাইয়া বেগম (২০) ও মাহমুদা বেগম (২২) কে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পরেছে পরিবারটি। এব্যাপারে মেয়ে পক্ষের লোকজন বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) মিমাংশা করার চেষ্টা করেও পুনরায় তার বাবা নবু বকাউলকে মারধর করে।
অন্তসত্ত্বা রাহিমা বেগম বলেন, জুয়েল আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে। বিয়ে আগে আমাদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো। বিয়ের সময় একলাখ টাকা ও একভড়ী স্বর্ণ দাবী করে জুয়েল ও তার পরিবার সেটাই টাকা পুরো পরিশোদ করতে না পারায় কয়েক দিন পর পর আমাকে মারধর করে। আমার বাবা মা ভাইয়েরা প্রতিবাদ করলে তাদেরও মারধর করে তারা। এখন এদের ভয়ে বাড়ী থেকে বের হতে পারছিনা। বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে ও যৌতুকের ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে শিকার করে অভিযুক্ত জুয়েল ও তার মা আছিয়া বেগম বলেন, যৌতুকের এক লক্ষা টাকা ও একভড়ী স্বর্ণ দেয়ার কথা তার মধ্যে মাত্র ৭০ হাজার টাকা দিয়েছে আর স্বর্ণ এখনো দেয়নি।
এব্যাপারে সদর থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।