1
মুন্সীগঞ্জে চিকিৎসকসহ আরও ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই দু’জনই টঙ্গীবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। এরা হচ্ছেন নারী চিকিৎসক (৩৪) ও পুরুষ স্বাস্থ্য কর্মী (২০)। এই দু’জনের বাড়িই লকডাউন করা হয়েছে। এই নিয়ে জেলায় ২৪৫ করোনা শনাক্ত হলো জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ১১ জন।
রবিবার আরও ৬ জনকে সিভিল সার্জন সুস্থ ঘোষণা করেছেন। এই নিয়ে জেলায় সুস্থ হয়েছেন ১৪ জন। সুস্থদের মধ্যে রয়েছেন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার প্রথম রোগী পানামের গৃহিনী মায়া বেগম (৪৫) ও শহরের মানিকপুরের আব্দুল আজিজ (৫০)। তারা সুস্থ হয়ে এরই মধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়াও জয়নব (৫৪) সুস্থ হয়েছেন। টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় চারজন করোনা জয় করেছেন। এরা হলেন- পারভেজ ব্যাপারী (৩৫), শাহ আলম শেখ (৪৪), আব্দুল খালেক (৩৭) ও ইয়ামিন (২৪)। সিরাজদিখানে সুস্থ হয়েছেন ৬ জন। এর মধ্যে ৭০ বছরের বৃদ্ধা গীতা রানী পাল, তার পুত্র অরুন পাল (২৬) এবং তার পুত্র বধু রযেছেন। শ্রীনগর উপজেলা করোনা জয় করেছেন মধ্যবয়সী মহিউদ্দিন।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, রবিবার ৫ মে পাঠানো বাকী সবগুলো রিপোর্ট আসে । পেন্ডিং ২৩টি রিপোর্টের মধ্যে ২ জনের পজেটিভ এবং ২১ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তবে এখনও ৭,৮ এবং ৯ মে’র রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে।
পোস্ট অফিস বন্ধ !
মুন্সীগঞ্জে ২৬২ রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন। রবিবার ৬ মে’র মাত্র ২৩টি রিপোর্ট এসেছে। শুক্রবার ৫ ও ৬ মে পাঠানো বেশ কিছু নমুনার রিপোর্ট প্রকাশ করা হলেও শনিবার কোন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।
তাই আবারও পেন্ডিংয়ের সংখ্যা বেড়ে গেলো। ৭, ৮ ও ৯ মে পাঠানো পুরোপুরি রিপোর্ট পেন্ডিংয়ের তালিকায় রয়েগেছে। রিপোর্ট পেন্ডিং থাকার কারণে নানা রকমের বিড়ম্বনা তৈরী হচ্ছে। এদিকে মুন্সীগঞ্জ পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টারসহ ১০জনের নমুনা দেয়া হয়েছে বুধবার। রবিবার পর্যন্ত রিপোর্ট আসেনি। তাই রবিবারও পোস্ট অফিসের কার্যক্রম বন্ধ থাকছে বলে পোস্ট মাস্টার মো. মোসলেউদ্দিন জানিয়েছেন। তিনি জানান, রিপোর্ট পেন্ডিং থাকায় তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। কারণ এই ১০ জনই অফিসে কাজ করেন। ডাক সরবরাহ ছাড়াও বহু ক্ষুদ্র আমানতকারীর টাকা দিতে হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ কয়েক জনের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। তাই বুধবার কার্যক্রম বন্ধ রেখে সোয়াব দেয়া হয়। বৃহস্পতিবারও কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত রিপোর্ট না আসা দুঃখজনক। তিনি বলেন, যদি এই ১০ জনই বা বেশীর ভাগের কারোনা শনাক্ত হয় তবে ঢাকা থেকে ভ্রাম্যমাণ পোস্ট অফিস পাবে এখানে। আর যদি কম সংখ্যক হয় তবে অন্য স্থান থেকে লোকজন এনে চালিয়ে নেয়া হবে। তবে সিভিল সার্জন জানান, ঢাকা থেকে রিপোর্ট আমরা না পেলে কি করবো?
মুন্সীগঞ্জে শনিবার আরও ১৪৬ জনের নমুনা সংগ্রহের পর রবিবার ঢাকার নিপসম পাঠানো হয়েছে। এই নিয়ে ১৫৬৭টি নমুনা ঢাকায় পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে ১১৫৯টি। রবিবারের নমুনাসহ আরও ৪০৮টি রিপোর্ট এখন বাকী। সিভিল সার্জন অফিসের হিসাব মতে এপর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১১জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১৪ জন।
– সভ্যতার আলো