1
গতকাল সোমবার মধ্য রাতে লৌহজং থেকে শুরু করে শ্রীনগর, সিরাজদিখান, টঙ্গীবাড়ি ও মুন্সীগঞ্জ উপজেলার সবখানে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। সাংবাদিকদের কাছে একের পর এক ফোন আসতে থাকে। রাত ১টা ২০ মিনিটে ফোন আসে বাংলাবাজার থেকে। এরপর রাত ১টা ২৮ মিনিটে ফোন আসে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বাহেরপাড়া থেকে। ১টা ৩২ মিনিটে ফোন আসে শহরের শ্রীপল্লী থেকে। রাত ২টা ৩৬ মিনিটে ফোন আসে সদর উপজেলার আধারার জাজিরা কুঞ্জনগর থেকে। রাত ২টার ৪৪ মিনিটে ফোন আসে পৌরসভার রনছ থেকে। এর আগেই ফোন আসে অন্যান্য উপজেলাগুলো থেকে।
একের পর এক এমন ফোন রিসিভ করতে হয়। আতঙ্কিত কণ্ঠে ফোন আসে বাংলাবাজার থেকে অপু মিয়া নামের এক ব্যক্তির। বলেন, ‘ভাই ডাকাত পড়ছে, পুলিশ পাঠান, আমাগো রক্ষা করেন’। বিভিন্ন স্থান থেকে নারী কণ্ঠেও আসে সহযোগিতার ফোন। আর সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমেও চারিদিকে ছড়াচ্ছিল গুজবের ডালপালা। বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন এলাকার নাম দিয়ে ডাকাত পড়েছে বলে সকলকে সতর্ক থাকতে ফেসবুকে পোস্ট আসতে থাকে। এমনি করে ডাকাত পড়ার খবর ৩টি উপজেরায় ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামানের জানান, এগুলো শুধুই গুজব। মহুর্তের মধ্যে সারা জেলায় ছড়িয়ে যায় এই ডাকাতির গুজবটি। ধারণা করা হচ্ছে, লৌহজং বা শ্রীনগর দিক থেকেই গুজবটি শুরু হয়েছে। এর উৎপত্তি খুঁজে বের করা হবে। মসজিদের মাইক ব্যবহার করা হয়। মানুষ আতঙ্কি হয়ে পড়ে। অনেকেরই রাতে ঘুম হারাম হয়ে যায়। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।