1
মুন্সীগঞ্জে নতুন ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে জেলায় ১০৯ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এমন রিপোর্ট দেয়া হয়েছে বুধবার আইইডিসিআর’র অফিসিয়াল ওয়েব সাইডে।
মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, যেহেতু অফিসিয়াল ওয়েব সাইডে দেয়া হয়েছে। তােই ঘটনা সত্য। তবে আমাদের অফিসে পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় ৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আইইডিসিআর’র সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের জন্য যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত তিনি বলছেন, তার কাছে এর বেশী তথ্য নেই। কিন্তু ১৬৯ জনের সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পেন্ডিং রয়েছে। এপর্যন্ত ৭১৩ জনের সোয়াব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৫৪৪ টি। এত রিপোর্ট পেন্ডিং থাকার কারণে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমাদের রিপোর্ট জানানো হচ্ছে একরকম, আর ওয়েব সাইডে তারা প্রকাশ করছে আরেক কম এটি বিব্রতকর। নতুন ৩০ জন আক্রান্ত। এটি অনেক বড় ব্যাপার। কিন্তু কোন ৩০ জন আক্রান্ত হয়েছে, আমরা জানতে পারছি না।
তিনি সংশ্লিষ্ট অনেকের সাথে কথা বলেছেন উল্লেখ করে বলেন, ল্যাব থেকে পরীক্ষার পর রিপোর্ট আমাদের কাছে পাঠানোর আগে নানা রকমের ফর্মালেটিস আছে। দায়িত্বশীলদের স্বাক্ষর নেয়ার ব্যাপার আছে এসব কারণেই সমস্যা হচ্ছে। আর এদিকে রিপোর্টর বিলম্বের কারণে রোগী যেমন দ্বিধাদ্বন্ধে থাকছেন, আবার যিনি রোগী নন, পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তিনিও টেনশনে। আর তার সাথের আচনরণও রোগীর মত না হলেও কাছাকাছি। আবার যিনি রোগী তাকে শনাক্ত না করার কারণে তার বিষয়ে বারতি সর্তকতাও নেয়া যাচ্ছে না। এদিকে বুধবার আরও ৩৮ জনের করোনা সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এগুলো পাঠানো হবে রকারের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) ।
সিভিল সার্জন জানান, পরবর্তী নিদের্শ না দেয়া পর্যন্ত নিপসম এ মুন্সীগঞ্জের নমুনাগুলো পাঠানো হবে।
এপর্যন্ত প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত ৬।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় শনাক্ত হলো ৩১, সিরাজদিখান উপজেলায় ১৪ শনাক্ত, টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় ১০ শনাক্ত, লৌহজং উপজেলায় ৫ শনাক্ত, শ্রীনগর উপজেলায় শনাক্ত হয়েছে ৯ জন এবং গজারিয়া উপজেলায় ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সিরাজদিখান উপজেলার আবিরপাড়া গ্রামের মা গীতা রাণী পাল (৭০) ও পুত্র অরুণ পাল (২৩) সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাই জেলায় সুস্থ এখন ২ জন।
-সভ্যতার আলো