5
মুন্সীগঞ্জ শহরের রাস্তায় চলছে সিএনজি, অটোরিকশা, মিশুকসহ অন্যান্য পরিবহণ। বেশি চলছে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও মিশুক। কিন্তু এইসব পরিবহনে গাদাগাদি ও জটলা তৈরি যাত্রী বহন করা হচ্ছে। মানা হচ্ছে না কোনো সামাজিক দূরত্ব। অনেক যাত্রী ও পথচারিদের নেই মাক্স ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম। অন্যদিকে নদীপথে লঞ্চঘাট এলাকা এবং শহরের ব্যাংক পাড়াগুলোতে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড়। সেখানেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সরেজমিনে মুন্সীগঞ্জ শহর, নদী ঘাট ও বিপনী এলাকা ঘুরে এই অবস্থা দেখা গেছে।
প্রশ্ন উঠেছে কতোটা ঝুঁকিমুক্ত এসব বাহন? যাত্রীরা বলছেন, সংক্রমনের ঝুঁকি জেনেও এসব বাহনে চড়তে বাধ্য তারা। চিকিৎসকরা বলছেন, দিনদিন যেভাবে শহরের রাস্তায় মানুষ সিএনজি এবং অটোরিকশায় চলাচল করছে তাতে করোনা সংক্রমন আরো বাড়তে পারে।
একাধিক যাত্রী জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়েই তারা অটো মিশুকে যাতায়াত করে। তবে এসব গণপরিবহনে যাত্রী উঠানোর আগে জীবানুনাশক স্প্রে করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী বহন করলে করোনা সংক্রমন রোধ করা সম্ভাব হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্রিয় হওয়ার তাগিদ দেন তারা।
ব্যাটারি চালিত একাধিক ইজি বাইক ও মিশুক চালক জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মিশুকে ১ জন এবং অটো এবং সিএনজিতে ২-৩ জনের অধিক যাত্রী নেওয়া যাবে না। তবে যাত্রীরা আগের পরিমাণ ভাড়া দিচ্ছে, এতে করে তারা বেশী ভাড়ার লোভে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে।