1
মুন্সীগঞ্জে রবিবার সিভিল সার্জন অফিসের ৭ জনসহ জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে দু’জন চিকিৎসক, জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর, সেকমো, নার্স, ব্রাদার, স্বাস্থ্যকর্মী অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এই নিয়ে জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এদের মধ্যে রবিবার স্বাস্থ্য বিভাগে আক্রান্ত ১ জনের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের ৭ স্টাফ, মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ১ জন, গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জন এবং শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১ জন রয়েছে। শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে আক্রান্ত হয়েছেন পুরুষ সদস্য (৩৯)। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জনের মধ্যে রয়েছেন- নার্স, আয়া এবং স্বাস্থ্য কর্মী। এরা হলেন- মহিলা (৩৫), পুরুষ (৩০), পুরুষ (৩১), মহিলা (৫০), পুরুষ (৪৫) ও পুরুষ (৪০)।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক (৫২) এবং মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের ৭ জন রয়েছেন। এই নিয়ে মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জনের চালকসহ সিভিল সার্জন অফিসেরই এ পর্যন্ত ৮ জনের করেনা শনাক্ত হয়েছে।
৫০ শয্যাবিশিষ্ট গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাসলিমা আনাম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ৪ জন কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই ৪জন আক্রান্তসহ সর্বমোট ১৩ জনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪ জন কর্মচারীর নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠানো হয় বৃহস্পতিবার রাতে। এতে ওই ৪ জনেরই করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
ইতিপূর্বে গজারিয়া উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২জন চিকিৎসক,১ জন নার্স, ১জন সহকারী নার্স, ১ জন কম্পাউন্ডার, ৩ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী (সুইপার), ১ জন কমিউনিটি ক্লিনিকের উপ-সহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা, ১জন প্রধান সহকারী, ১জন কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রভাইডার, ১জন উপ-সহকারী ও নার্সের কলেজ পড়ুয়া কিশোরীসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় ১৩ জন। বিকালে দেয়া সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদের সর্বশেষ তথ্য এবং সংশোধনী অনুযায়ী জেলায় রবিবার ৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হলো।
এব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ ডেইলি মুন্সীগঞ্জকে জানিয়েছেন, আক্রান্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে প্রথম দিকে আক্রান্ত গজারীয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩ স্বাস্থ্যকর্মী ইতো মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন। অপর আক্রান্তরা বাসাবাড়ী ও উপজেলা আইসোলেশ সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এতে স্বাস্থ্য কর্মিদের মধ্যে কিছুটা ভয় কাজ করলেও আমরা তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো আধুনিক করেছি। এবং সকল নিরাপত্তা সামগ্রী দেয়া হয়েছে।