5
মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরের সরকারী একমাত্র চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত হাসপাতালটির বহি: বিভাগে থাকে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। নিচ তলায় থাকা ইমার্জেন্সী রুম, বহি: বিভাগ, ২য় তলার মেডিসিন এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রুমের সামনেও থাকে রোগীদের ভিড়। চিকিৎসকরা রুমের ভিতরে সামাজিক দূরতœ নিশ্চিত করলেও রুমের বাইরে গাদাগাদি করেই রোগীরা দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘ লাইনে। সেখানে রোগীর এবং রোগীর স্বজনরা কেউ মানছেনা সামাজিক দূরত্ব। অনেকেই ব্যবহার করছেনা মাস্ক। হাসপাতালের ভিতরে শিশু, বৃদ্ধরা অনেকেই মাস্ক ছাড়া বসে আছে চিকিৎসাসেবা পেতে। চিকিৎসক সংকটের কারনে সেবা দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মুখিকভাবে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালকে ১০০ শয্যার ঘোষনা দেয়া হয় বহু আগে। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরেও ১০০ শয্যার জনবল নিযোগ দেয়া হয়নি। ফলে ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চালানো হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা।
হাসপাতালে আসা রোগীরা জানান, মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা ঘন্টায় ১শ এর অধিক রোগী দেখেন । রোগীদের মুখ থেকে কোন মতে রোগের বর্ননা শুনেই নামমাত্র চিকিৎসা দিয়ে বিদায় করে দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের ইমার্জেন্সীতে জরুরি সেবা নিতে আসলে সেখানে রোগীর সাথে আসা স্বজনদের ভিড়ে ডাক্তার নার্সদেরও খুঁজে পাওয়া যায়না। প্যাথলজি বিভাগ এবং বিনামূল্যে ঔষধ বিতরন বিভাগেও মানুষের গাদাগাদি। ফলে হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনা যে কেউ প্রানঘাতি করোনায় সংক্রমিত হতে পারে। দ্রæত ভালো চিকিৎসাসেবা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে রোগীর স্বজনরা।
জেলা সিভিল সার্জন ডা: আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোভিড ১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় রোগীর চাপ বেড়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব আছে। তারা মাস্ক মুখে না পড়ে থুতনিতে ঝুঁলিয়ে রাখে। কেউ বা পকেটে রাখে । সাধারন মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে তাহলে নিজের এবং দেশের মঙ্গল হবে। নামেমাত্র ঘোষনা দিয়েছে ১০০ শয্যার হাসপাতালের। হয়নি লোকবল নিয়োগ এবং সেটা এখনও প্রক্রিয়াধীন । ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চালানো হচ্ছে ১০০ শয্যার হাসপাতাল। লোকবল নিয়োগ হলে চিকিৎসক সংকট এবং সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।