1
মুন্সীগঞ্জে নতুন আরও একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে জেলায় ১১০ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এমন রিপোর্ট দেয়া হয়েছে আইইডিসিআর’র অফিসিয়াল ওয়েব সাইডে। মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, যেহেতু অফিসিয়াল ওয়েব সাইডে দেয়া হয়েছে। তাই ঘটনা সত্য। তবে আমাদের অফিসে পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় ৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে আরও ৩৮ জনের সোয়াব পরীক্ষার জন্য ঢাকার ‘নিপসম’ এ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ৬৬ জনের সোয়াব। যা আজ শুক্রবার পাঠানো হবে। কিন্তু গত দুই দিনে নতুন করে আরও ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হলেও এই তালিকা নেই জেলায়।
মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন জানান, বিষয়টি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকেও অবহিত করা হয়। এই জেলার তদারিকতে থাকা সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামকেও জেলা প্রশাসক অবহিত করেছেন। শিঘ্র এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
মরণব্যাপী এই করোনার সংক্রমণ রোধে এই তথ্য রোগীর এবং স্থানীয় প্রশাসনের জানা জরুরি। যতদ্রুত লকডাউনসহ অন্যন্য পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব, ততই মঙ্গল। বিস্ময়কর হলো- নতুন ৩১ জনের তালিকা নেই মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন (সিএস) অফিসে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে দেখা দিয়েছে সমন্বয়হীনতা। যার কারণে মুন্সীগঞ্জের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এখানকার চিকিৎসক ও দায়িত্বশীল মহল। তাদের প্রশ্ন যেহেতু পরীক্ষা হয়ে গেছে, ওয়েব সাইডে আপ করতে পারছে আর অন্তত তাৎক্ষনিক ফোনে, ম্যাসেজে বা মেইলে নামগুলো জানাতে পারছে না?
সিভিল সার্জন বলেন, এ পর্যন্ত ৭৫১ জনের সোয়াব পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৫৪৪ টি। এত রিপোর্ট পেন্ডিং থাকার কারণে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমাদের রিপোর্ট জানানো হচ্ছে একরকম, আর ওয়েব সাইডে তারা প্রকাশ করছে আরেক রকম এটি বিব্রতকর। নতুন ৩১ জন আক্রান্ত। এটি অনেক বড় ব্যাপার। কিন্তু কোন ৩১ জন আক্রান্ত হয়েছে, আমরা জানতে পারছি না।
-সভ্যতার আলো