1
ভারতে সোমবার থেকে দেশজুড়ে আরও দু’সপ্তাহ লকডাউন চলবে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। অর্থাৎ ১৭ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউন চলবে। ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুসারে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ দিকে,তৃতীয় দফার লকডাউনে অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করার কথা জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নতুন গাইডলাইন তৈরি করেছে এই সময়কালের জন্য। রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোন অনুসারে এই গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনের ক্ষেত্রে কিছু শিথিলতা আনা হবে। তবে দেশজুড়ে যে কোনও জোন নিরপেক্ষ ভাবে কিছু বিধিনিষেধ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। বিমান, রেল, মেট্রো পরিষেবা ও আন্তঃরাজ্য ভ্রমণ নিষিদ্ধই থাকবে। বন্ধ থাকবে স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণমূলক প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে রেস্তোরাঁ, হোটেলও বন্ধ থাকবে। বড় জমায়েতের স্থান যথা সিনেমা হল, শপিং মল, জিম ও ক্রীড়া সংস্থাগুলিও বন্ধ রাখা হবে। এছাড়াও সরকার কোনও রকমের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। ধর্মীয় সমাবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া হিসেবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৪৩-এ। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৯৩ জন। যা এক দিনে সর্বোচ্চ। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১৪৭। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাড়ে ৮ হাজারের বেশি মানুষ। বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে মহারাষ্ট্রের করোনা-পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোলা হচ্ছে। যা নিয়ে চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে কেন্দ্রের। সেখানে ইতোমধ্যে ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।
শুক্রবার মহারাষ্ট্রে ৫৮৩ জনের শরীরে নতুন করে পাওয়া গিয়েছে করোনা সংক্রমণ। মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। মহারাষ্ট্রের পর সংক্রমণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থনে রয়েছে গুজরাট। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২১৪ জনের। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্টে গুজরাট ও দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে৷ এর পরের ধাপেই রয়েছে রাজস্থান, তামিলনাডু, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও বিহার৷ নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা উর্ধ্বগামী হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ,এই অবস্থায় কনটেইনমেন্ট, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং এবং টেস্টিং-এগুলোই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গুরুত্বের তালিকায়৷