মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে টানা ৪র্থ দিনেও গার্মেন্টস কর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার এই ঘাটে বৃহস্পতিবারও শ্রমজীবী মানুষের ভিড় দেখা গেছে। লঞ্চ স্পিডবোর্ড বন্ধ থাকায় ফেরি ও ট্রলার দিয়ে পদ্মা নদী পাড় হয়ে শিমুলিয়া ঘাট হয়ে এ সমস্ত যাত্রীরা ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নিজেদের কর্মস্থলে যেতে নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছে এ সমস্ত শ্রমজীবী মানুষ। গণপরিবহন বাস না থাকায় বিকল্প পরিবহনে যেতে গিয়ে বেশী ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।
মাওয়া নৌপুলিশ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য সিরাজুল কবির জানান, বেশ কিছু শ্রমজীবী মানুষ সকাল থেকে ফেরি পার হয়েছে। ফেরিতে করে তাদের নদী পার হতে দেখা গেছে।
তিনি জানান, গত চারদিন ধরেই এই ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্তই ভিড় বেশি থাকে মানুষের ঢল।
বিআইডব্লিউটিসি (বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌপরিবহন করপোরেশনের) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহম্মেদ বলেন, ‘এ রুটে এখন ছয়টি ফেরি চলছে। ফেরিতে খুব বেশী মানুষ পার হচ্ছেনা।’
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হেলাল উদ্দিন জানান, গণপরিবহন না থাকায় শ্রমজীবী মানুষের বেশ ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। তারা মিশুক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা দিয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে যাচ্ছে। তবে এসব যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে পারেনা। অনেক পথ ঘুরে তারা ঢাকার কাছাকাছি যায়। সেখান থেকে বাহন পাল্টে তাদের গন্তব্যে রওনা দেয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘সকালের দিকে যাত্রীদের চাপ বেশী থাকে। বেলা বাড়ার সাথেসাথে চাপ কমতে থাকে। কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে যে সাতটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে ভিড়েছে, সেখানে প্রতি ফেরিতে আনুমানিক ২৫০ জন শ্রমজীবী মানুষ পার হয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটে তেমন কোন যানবাহন নেই নদী পার হওয়ার জন্য। জরুরি যে সকল যান আসে তা সাথে সাথে ফেরিতে তুলে দেওয়া হয়। দিনের চাইতে রাতেই পণ্যবাহী যান বেশী আসে। এখন ঘাটে গাড়ি নেই বললেই চলে। দেখে মনে হয় এরা সবাই গার্মেন্টস কর্মী।’