শ্রীনগরে বখাটের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এক বাকপ্রতিবন্ধী নারী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার দুপুর ১২দিকে ওই নারীকে মুমুর্ষ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার মুন্সীরহাটি গ্রামের রফিক মিয়ার বখাটে ছেলে শরিফ(৩২) পাশর্^বর্তী ষোলঘর গ্রামের সিংহের মাঝিপাড়া এলাকার মৃত হাফেজ শেখের বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে শিউলী (৩৮) কে প্রায়ই প্রেম নিবেদন করে উত্যক্ত করতো। শরিফ গত বুধবার রাত ৯টার দিকে শিউলীর ঘরে প্রবেশ করে। এসময় শিউলীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে শরিফ তার পায়ের জুতা রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন দুই পক্ষ স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ রফিক মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে বিচার দাবী করে। শিউলী আকার ইঙ্গিতে শরিফের খারাপ আচরণের বিষয়টি তুলে ধরে। এসময় রফিক মেম্বার বখাটে শরিফকে পুনরায় এই গ্রামে দেখা গেলে উপযুক্ত বিচার করা হবে বলে শাসিয়ে দেয়। ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে শিউলী নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে বখাটে শরিফ তাকে ইট দিয়ে আঘাত করে। শিউলী এর অপমান সইতে না পেরে শুক্রবার সকালে প্রথমে কীটনাশক পান করে ও পরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন মূমূর্ষ অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শিউলীর বড় ভাই ষোলঘর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি শাহ আলম বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। মেম্বার বিষয়টি আমাকে জানাতে পারতো। সে একাই সমাধান দিয়েছে বলে শুনেছি।
এ ব্যাপারে ষোলঘর ইউপি সদস্য মোঃ রফিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উভয় পক্ষ আমার বাড়িতে এসে বিচার দাবী করলে আমি শরিফকে শাসিয়েছি। কোন সালিশ হয়নি।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।