1
মুন্সীগঞ্জ-০৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, সর্বাগ্রে জীবন-তারপরে জীবীকা। তৎপরবর্তীতে ব্যক্তিজীবনে ভাবনার বিষয় হচ্ছে অর্থণীতি। তিনি সংক্রমণের বিষয়ে বলেন, কোভিড-১৯ শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাড়াঁয় তা একমাত্র ভবিতব্যই জানেন। জীবন ও সংকট একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে তিনি বলেন, জগৎ সংসারে সমস্যা সংকট থাকবেই। যা মানুষ মাত্রেই সহজাত। সমস্যা সংকুল পরিস্থিতির উত্তোরণ ঘটিয়ে ব্যক্তিবিশেষকে ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে হয়। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কবল মুক্তির ক্ষেত্রেও সংগ্রাম করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ভিন্নতর পন্থাবলম্বন অপরিহার্য। দৃষ্টান্ত উত্থাপন পূর্বক তিনি বলেন, সংক্রমণ রোধে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সুনির্দিষ্ট নির্দেশাবলী অনুসৃতের কোন ভিন্ন পন্থা নেই। তবে তিনি অধিক গুরুত্বারোপ করেন ‘ঘরে থাকার ক্ষেত্রে’। কেননা ঘরে থাকা সম্ভব হলে যেকোন ব্যক্তি, তিনি নিজে এবং পরিবারকে সুরক্ষার আওতাভুক্তে সমর্থ হবেন। তাই ঘরে থাকার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
মৃণাল কান্তি দাস বলেন, চীন থেকে উৎপত্তি করোনা বিশ্বের ২ শতাধিক রাষ্ট্রে বিস্তার লাভ করেছে। ক্ষমতাশালী দেশ আমেরিকা-ইংল্যান্ড সহ অন্যান্য দেশগুলোও বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ অবস্থায় থাকা সত্তে¦ও সংক্রমণ প্রতিহতে ব্যর্থ হয়েছে। সংক্রমিত হয়ে উল্লেখিত দেশগুলোতে হাজার হাজার নাগরিক মৃত্যুবরণ করেছেন। পরাক্রমশালী দেশগুলোর তুলনায় মহামারি করোনা বাংলাদেশকে সে তুলনায় সংক্রমিত করতে পারেনি। কিন্তু গত কিছু দিন ধরে দেশে সংক্রমিতের আধিক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা অবশ্যই আমলে না নেওয়ার কোন উপায় নেই। কেননা ইতোমধ্যে কিছু গার্মেন্টস, কল কারখানা ও হোটেল সংক্ষিপ্ত পরিসরে হলেও উন্মুক্ত করা হয়েছে। যা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের বিষয়ে প্রভাব ফেলতে পারে। এ বিষয়টি অবশ্যই স্মরণে রাখা অত্যাবশ্যক করোনা উপসর্গ তাৎক্ষণিকভাবে প্রতীয়মান হয় না। তাই করোনার জীবানু বহন করা ব্যক্তিকে বাহ্যিক দৃষ্টিভঙ্গীতে সুস্পষ্ট করাও সম্ভব নয়।
তিনি মুন্সীগঞ্জ-০৩ আসনের সর্বসাধারনের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন, নিজেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত হলে, স্বাভাবিকভাবেই পরিবার সংক্রমণ থেকে মুক্ত হবে।
অনুরূপভাবে মুক্ত হবে সমাজ ও দেশ। তাই তিনি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সুনিশ্চিতের জন্য জনসাধারণের প্রতি জোর আহবান জানান। তিনি বলেন, দেশের সর্বাপেক্ষা সংক্রমিত জেলা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ হচ্ছে মুন্সীগঞ্জের সীমান্তবর্তী। যেকোন উপায়েই হোক উক্ত ২ জেলা থেকে মানুষ জেলায় অনুপ্রবেশ করছে। এ বিষয়টিই হচ্ছে উৎকন্ঠা কিংবা আশঙ্কার। অনুপ্রবেশকৃত লোকজনদের মধ্যে কোন ব্যক্তি সংক্রমিত কিনা তা বুঝার কোন উপায় নেই। তাই অজানা, অচেনা ও অজ্ঞাত মানুষজনের কাছ থেকে যথাযথ দুরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোন লুটেরা শ্রেণীর জন্য নয়। অথচ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা দরিদ্র, দিনমজুর, শ্রমজীবী মানুষের জন্য বিনির্মান করেছেন। লুটেরা শ্রেণীর জন্য এদেশ নয় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজ সুসম্পন্ন পূর্বক জাতীর মুখে হাসি ফোটাবেন। তিনি আরো বলেন, মহা প্রতিপত্তিশালী রাষ্ট্রগুলো যেখানে করোনা সংক্রমণ রোধে ব্যর্থ হয়েছেন, সেই জায়গাতেই গোটাবিশ্ব সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনাকে ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। তিনি জনগণের প্রতি বিনীত অনুরোধ পূর্বক আহবান জানান, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করুণ, অবশ্যই ঘরে থাকুন। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবেন না, অতিঅবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
সূত্রঃ মুন্সীগঞ্জের খবরের