5
অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন শেখ রিজাউল হক (দিপু)। তিনি সম্প্রতি আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। বিগত দু’বছরের সফল দায়িত্ব পালনের মধ্যে অনেকটা স্বেচ্ছায় আশুলিয়া থানা ছেড়ে বদলি হয়ে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে চলে গেলেন মানবিক এই পুলিশ কর্মকর্তা ।
শেখ রিজাউল হক (দিপু)’র বাবা প্রয়াত শেখ ইকরামুল হক ছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য। বঙ্গবন্ধুর স্বজন,টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের সীমানা ঘেঁষে থাকা প্রথম বাড়িটিই তার। সবকিছু ছাপিয়ে তিনি ও তার পরিবার বর্গ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। আদর্শ ও নৈতিকতা যেন বঙ্গবন্ধুর সূত্রে গাঁথা, তিনি স্নেহ মানুষকে কাদাতে পারে, হাসাতেও পারে ভালোবাসা দিয়ে।
অথচ এই মানুষটি পেশাগত জীবনের বাইরে কখনোই অপ্রয়োজনে “নিজের বাড়ি গোপালগঞ্জ” তা নিয়ে জাহির করতে পছন্দ করেন না। বরং সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেছেন নীরবেই।
তিনি একাধিকবার হয়েছেন ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি)ও পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।
থানা কম্পাউন্ডে দাঁড়িয়ে থাকা অসহায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা, চিকিৎসার অভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত মৃত্যুপথযাত্রী এক শিশুর চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্বভার গ্রহণ। এমন হাজারো মানবিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে আছে শেখ রিজাউল হক (দিপু)’র নাম। এর বাহিরেও সাটুরিয়া ও আশুলিয়া থানা কমপ্লেক্সে পাখির অভয়ারণ্য তৈরি করেও বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।
ওসি “প্রদীপরা” যখন পুলিশের ইমেজ কে ধ্বংস করে,তখন তিনি পুলিশের পক্ষ থেকে মানবিক কাজ দিয়ে সেই বাহিনীর সুনাম কে সমুজ্জ্বল করেছেন, শেখ রেজাউল হক (দিপু) ।
কেবলমাত্র ধামরাই কিংবা আশুলিয়া থানার (ওসি) হিসেবেই নয়, একজন অসামান্য, মানবিক ও সৎ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ও মানবিক গুণাবলির কারণেই স্মরণীয় হয়ে আছেন মানুষের হৃদয়ে।
,মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত আশুলিয়ার সর্বস্তরের জনগণ জানান, ওসি শেখ রেজাউল হক (দিপু)র মতো বাংলাদেশের প্রত্যেকটি থানায় এরকম মানবতার অফিসার ইনচার্জ তৈরি হলে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে। এই প্রিয় ব্যক্তি যেখানেই থাকেন ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা সকলের। তাহার জন্য দোয়া ও অনেক ভালোবাসা রইল। আশুলিয়া সহ সারা দেশবাসীর পক্ষ থেকে আপনার ও আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছেন আশুলিয়া থানার সর্বোত্তম জনগণ।